নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
জনপ্রিয় দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম... উত্তরবঙ্গের গণমানুষের ঠিকান এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও এর জন্য, দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজে একযোগে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আপনি যদি সৎ ও কর্মঠ হোন আর অনলাইন গনমাধ্যমে কাজ করতে ইচ্ছুক তবে আবেদন করতে পারেন। আবেদন পাঠাবেন নিচের এই ঠিকানায় ajkerthakurgaon@gmail.com আমাদের ফেসবুল পেইজঃ https://www.facebook.com/ajkerthakurgaoncom প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন মোবাইল : ০১৮৬০০০৩৬৬৬

অক্সিজেনের পাইপ নিয়ে অটোরিকশা চালানো সেই সেন্টু আর নেই

দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • / 22
আজকের ঠাকুরগাঁও অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অক্সিজেনের পাইপ নাকে লাগিয়ে অটোরিকশা চালানো রাজশাহীর সেই মাইনুর জামান সেন্টু (৫৬) মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তিনি গত ১৬ দিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুপুরে ভাইয়ের বাড়িতে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

সেন্টুর মেয়ে আঁখি খাতুন জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার ফুসফুস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য তার বাবা জটিল শ্বাসকষ্টসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর পর তার বাবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ বাবাকে আঁখি হাসপাতাল থেকে তার চাচার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপর বাদ মাগরিব মহানগরের হেতেম খাঁ বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার বাবার জানাজা হয়। জানাজা শেষে হেতেম খাঁ কবরস্থানেই তার বাবার মরদেহ দাফন করা হয়।

অক্সিজেনের পাইপ নাকে নিয়ে রিকশা চালানোর খবর গত বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রাজশাহীসহ সারা দেশের মানুষ সেন্টুর করুন জীবনগাঁথা জানতে পারেন। এরপর রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ রিকশাচালক সেন্টুকে রামেক হাসপাতালে দেখতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি সেন্টুর চিকিৎসাভার গ্রহণ করেন এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সেন্টুর চিকিৎসার সব খরচ বহনও করা হয়। এ ছাড়া ওই সময় গৃহহীন রিকশাচালক সেন্টু ও তার স্ত্রীকে বসবাসের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে একটি বাড়িও বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসক।

এরপর রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছিতে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই বাড়িতেই স্ত্রী চম্পা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন রিকশাচালক সেন্টু। তবে দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার চিকিৎসা শেষে আর ফিরতে পারেননি তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা সম্পাদক

দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও এর বার্তা সম্পাদক

অক্সিজেনের পাইপ নিয়ে অটোরিকশা চালানো সেই সেন্টু আর নেই

আপডেট সময় : ১০:০০:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

অক্সিজেনের পাইপ নাকে লাগিয়ে অটোরিকশা চালানো রাজশাহীর সেই মাইনুর জামান সেন্টু (৫৬) মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তিনি গত ১৬ দিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুপুরে ভাইয়ের বাড়িতে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

সেন্টুর মেয়ে আঁখি খাতুন জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার ফুসফুস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ জন্য তার বাবা জটিল শ্বাসকষ্টসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর পর তার বাবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ বাবাকে আঁখি হাসপাতাল থেকে তার চাচার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার বাবার মৃত্যু হয়। এরপর বাদ মাগরিব মহানগরের হেতেম খাঁ বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার বাবার জানাজা হয়। জানাজা শেষে হেতেম খাঁ কবরস্থানেই তার বাবার মরদেহ দাফন করা হয়।

অক্সিজেনের পাইপ নাকে নিয়ে রিকশা চালানোর খবর গত বছর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর রাজশাহীসহ সারা দেশের মানুষ সেন্টুর করুন জীবনগাঁথা জানতে পারেন। এরপর রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ রিকশাচালক সেন্টুকে রামেক হাসপাতালে দেখতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি সেন্টুর চিকিৎসাভার গ্রহণ করেন এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সেন্টুর চিকিৎসার সব খরচ বহনও করা হয়। এ ছাড়া ওই সময় গৃহহীন রিকশাচালক সেন্টু ও তার স্ত্রীকে বসবাসের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে একটি বাড়িও বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসক।

এরপর রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছিতে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই বাড়িতেই স্ত্রী চম্পা বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন রিকশাচালক সেন্টু। তবে দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার চিকিৎসা শেষে আর ফিরতে পারেননি তিনি।