মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, স্টাফ রিপোর্টার:

বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেমেছে ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে সাংবাদিকদের জানানো হয় বৃষ্টির মতো গুলি হলেও তারা রাজপথ ছেড়ে যাবে না, আন্দোলন চালিয়ে যাবে তারা।

শনিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয় (বড় মাঠ) থেকে ছাত্র জনতার একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-দিনাজপুর ও ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এখানে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় মহাসড়ক অবরোধ হলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সেখান থেকে আবারও মিছিল নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা অবরোধ করে এবং একই রকম স্লোগান দিতে থাকে। এখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করার পরে আবার বড়মাঠে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা।

দেখা যায়, আন্দোলনের সময় জুড়ে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল নিয়ে ফেরার পথে বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা কথা বলে এবং পুলিশ সামনে হাঁটা অবস্থায় মিছিল নিয়ে শহর চৌরাস্তার অভিমুখে যায়। মিছিলে আন্দোলনকারীরা মাইকে কাউকে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করতে নিষেধ করে এবং কেউ যেন লাঠি না নেয় হাতে এমন ঘোষণা দেয়া হয়। পরে শহর চৌরাস্তায় বিক্ষোভ ও অবস্থান করে বড় মাঠে ফিরে যায়।

আন্দোলন শেষে শিক্ষার্থীরা বড়মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংবাদিকদের জানান, অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এসে আমার ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আর খুনিরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের এ অস্থিরতা শাসক বুঝছেনা। আমরা আমাদের ভাই বোনদের হত্যার বিচার চাই। আজ আমরা বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন করছি, যদি বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষনও হয় আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। যারা এ প্রজন্মকে অবমূল্যায়ন মূলক কথা না বলে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সেসব অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা এবং পাশে থাকার আহ্বান জানান তারা।

আন্দোলনে আসা অভিভাবকরা জানান, এখানে তো আমাদের সন্তানরা আন্দোলন করছে। সরকার প্রধান কি আমাদের সন্তানদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছেনা। তারা কি চায়। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীরা

আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইন্তাজুল হক বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করা হলে, কাউকে আটক করা হলে বিনামূল্যে তাদের আইনগত সহায়তা করা হবে।