কবিতা : আঘাত
- আপডেট সময় : ০৬:৩০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
- / 13
কবি মাহফুজা রহমান
পর মানুষের বুলেট গু’লি
ছিনিয়ে এনেছি মায়ের বুলি,
সেও কি আমরা আর ভুলি
হাসি খেলি সদাইতো চলি!
নিজ মানুষের দেওয়া ঘাত
ভুলা যায়না ডাকি রাহাত,
শুয়ে একা একাত ওকাত
ভাবি আমি এটাই সারারাত!
পর মানুষরা হয়তো মারে
ইতিহাস এটা যুগ যুগ ধরে,
ওগো আপন মানুষের তরে
অন্তর মন কত আশা ভরে!
আপন থেকে মুক্তি দিলো
আপনের আপন তারা হলো,
এখন ওটাই যারা চেয়ে চলো
তারা কি আর আপন বলো!
একই দেশে মানুষ বেশে
মানুষ মারলে হেসে হেসে,
জানিনা সে কোনসে দোষে
করছে আঘাত মেকি রোষে!
সিংহাসনটি তারই ছিলো
আমরা কি আর চাই বলো,
তবু রক্ত লাল করে দিলো
তবে তো ভাই ক্ষেপণ হলো!
এ’কেমন নিয়ম কেমন খেলা
আপন মানুষ বদলে গেলা,
বুঝিয়েছো কত ছলাকলা
আমরা কি ঠেকিয়েছি পথ চলা!
স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে
বলছো তুমি যত মিছে মিছে,
তোমার পরিবার তোমার কাছে
উদ্দেশ্য ছিলো এটাই হাছে!
আমার দেশের ইলিশ ভাজা
দাওনি কভু খেতে তরতাজা,
তবু হেসে চলছি করছি মজা
ছিলাম বুঝি তোমার প্রজা!
তোমার বাবা যুদ্ধ করেছে
কতো আশায় বুক ভরেছে,
বাবা দাদা ছেলে গেছে গেছে
তাওকি বলছি কভু পিছে!
গাড়ি ভাড়াটা ছিলো ভারী
টেক্স না দিলে দিতো আড়ি,
করছি কভু কতো আহাজারি
ছিল বুঝি তোমার তাঁবেদারি!
চাকুরির ক্ষেত্রে একই দশা
মানুষ নয় তাড়াতো ভেবে মশা,
ছেলে আমার বুঝেনি ঝাপসা
বেঁধেছিল বুকে কত স্বপ্ন আশা!
দ্রব্যের দাম ছিলো দ্বিগুণ
বাজারে এনেছিলে ফাগুন,
কিছু কি বলছি কোন ক্ষণ
তুমি কেমন ছিলে জানে জন!
খাবার তুমি নাই’বা দিলে
ছেলেটারে কেন গুলি মারলে,
হাত পা সবটা ভেঙে দিলে
চলতো তবু সে এলেবেলে!
আমি মা দেখতামগো চেয়ে
খোকা আমার আসছে দেয়ে,
যায়না সময় আর একা বয়ে
রয়েছি ঘরের কোণে একা হয়ে!
ছেলে আমার ভার্সিটি পড়ে
করেছে কাজ অন্যের ঘরে,
দিতে পারিনি খাবার পেট ভরে
থাকছে কত রাত অনাহারে!
বলছে আমায় পড়া শেষে
মাগো দুঃখ যাবে জলে ভেসে,
আমি রয়েছি কত স্বপ্নে বসে
সুখ ফোঁটাতে হাসবো হেসে!
তারই বুকে লাগালে আগুন
তুমি পাষাণি সেজে আপন,
পর মানুষ দিলে কাঁদেতো মন
বিচার চাই প্রভু প্রার্থনা যখন!