নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
জনপ্রিয় দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম... উত্তরবঙ্গের গণমানুষের ঠিকান এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও এর জন্য, দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজে একযোগে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আপনি যদি সৎ ও কর্মঠ হোন আর অনলাইন গনমাধ্যমে কাজ করতে ইচ্ছুক তবে আবেদন করতে পারেন। আবেদন পাঠাবেন নিচের এই ঠিকানায় ajkerthakurgaon@gmail.com আমাদের ফেসবুল পেইজঃ https://www.facebook.com/ajkerthakurgaoncom প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন মোবাইল : ০১৮৬০০০৩৬৬৬

Youth Alliance ছোট্ট একটা স্বপ্ন বাস্তবায়নের গল্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / 14
আজকের ঠাকুরগাঁও অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিশাত তাবাসসুম 

 

গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটার সময় হঠাৎ করে Youth Alliance এর চারজন সদস্য বসে প্লান করে ফেললাম বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য আমরা আমাদের মানবতার হাত বাড়িয়ে দেব। যেই চিন্তা সেই কাজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ আগস্ট শনিবার আমাদের ছোট্ট একটা টিম মাঠে নামে ডোনেশন কালেক্ট করার জন্য। সেদিন বিকাল বেলা Youth Alliance এর প্রায় সকল সদস্য মিলে ডোনেশন কালেক্ট করার জন্য বেরিয়ে পড়ি। রাত ৯ টা পর্যন্ত কালেক্ট করে আমরা আমাদের প্রথম দিনে পরিকল্পনা সমাপ্ত করি। পরবর্তী দিন অর্থাৎ ২৫ আগস্ট রবিবার সকালবেলা একটা টিম ডোনেশন কালেক্ট করার জন্য আবার বেরিয়ে পড়ে। হঠাৎ করে আমার কর্মস্থল Asia Technical and turning center এর সম্মানিত উপ-পরিচালক আমাকে জানান আমরা দুইটা গ্রুপ একসাথে কাজ করতে পারি। উনার কথা অনুযায়ী আমরা একই সাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকাল বেলায় আমাদের দুইটা টিম মাঠে নামে ডোনেশন কালেকশনের জন্য। আর আমার কর্মস্থল Asia technical and training centre নিজ উদ্যোগে তাদের ফান্ড গঠন করার চেষ্টা করে। পথিমধ্যে নানান বিপর্যয়, বিভ্রান্তকর মন্তব্য, নানান সমস্যার কারণে আমরা ভেঙে পড়তে থাকি। কিন্তু আমাদের Asia technical and training centre এর উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান স্যার এর কাউন্সিলিং এ আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া শক্তি, সাহস,সামর্থ পুনরায় ফিরে পাই এবং পুরো উদ্যমে কাজ শুরু করি। সেদিন রাত দশটার সময় আমরা বাজারে চলে যাই বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য খাবার কিনতে। রাত বারোটায় বাড়ি এসে আমরা Youth Alliance পরিবারের বেশ কিছু উদ্যমী সদস্য মিলে প্যাকেজিং করার শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ পাঁচটার সময় আমাদের প্যাকেজিং করা শেষ হয়। ২ ঘণ্টা রেস্ট নিয়ে সকাল ৭ টায় আমরা বন্যা দুর্গত এলাকা পাইকগাছার উদ্দেশ্যে বের হই। সাথে ছিল আমাদের Youth Alliance এর উদ্যমী সদস্য ও Asia technical and training centre এর সদস্যবৃন্দ। পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়ন এ পৌঁছানোর পর ট্রলারযোগে চলে যাই প্রত্যন্ত গ্রামে। বাড়ি বাড়ি আমরা তাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করি। তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে আমরাও ব্যথিত হয়েছি। আমাদের সামান্য সাহায্যের হাত তাদের একটু হলেও উপকারে এসেছে বলে আমি মনে করি। তাদের পাশে থাকতে পেরে তাদের এই অবস্থায় আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে আমরা সকলেই গর্বিত।

 

দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করব আমরা ইনশাআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

Youth Alliance ছোট্ট একটা স্বপ্ন বাস্তবায়নের গল্প

আপডেট সময় : ০৪:২৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

নিশাত তাবাসসুম 

 

গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটার সময় হঠাৎ করে Youth Alliance এর চারজন সদস্য বসে প্লান করে ফেললাম বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য আমরা আমাদের মানবতার হাত বাড়িয়ে দেব। যেই চিন্তা সেই কাজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ আগস্ট শনিবার আমাদের ছোট্ট একটা টিম মাঠে নামে ডোনেশন কালেক্ট করার জন্য। সেদিন বিকাল বেলা Youth Alliance এর প্রায় সকল সদস্য মিলে ডোনেশন কালেক্ট করার জন্য বেরিয়ে পড়ি। রাত ৯ টা পর্যন্ত কালেক্ট করে আমরা আমাদের প্রথম দিনে পরিকল্পনা সমাপ্ত করি। পরবর্তী দিন অর্থাৎ ২৫ আগস্ট রবিবার সকালবেলা একটা টিম ডোনেশন কালেক্ট করার জন্য আবার বেরিয়ে পড়ে। হঠাৎ করে আমার কর্মস্থল Asia Technical and turning center এর সম্মানিত উপ-পরিচালক আমাকে জানান আমরা দুইটা গ্রুপ একসাথে কাজ করতে পারি। উনার কথা অনুযায়ী আমরা একই সাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেই। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকাল বেলায় আমাদের দুইটা টিম মাঠে নামে ডোনেশন কালেকশনের জন্য। আর আমার কর্মস্থল Asia technical and training centre নিজ উদ্যোগে তাদের ফান্ড গঠন করার চেষ্টা করে। পথিমধ্যে নানান বিপর্যয়, বিভ্রান্তকর মন্তব্য, নানান সমস্যার কারণে আমরা ভেঙে পড়তে থাকি। কিন্তু আমাদের Asia technical and training centre এর উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান স্যার এর কাউন্সিলিং এ আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া শক্তি, সাহস,সামর্থ পুনরায় ফিরে পাই এবং পুরো উদ্যমে কাজ শুরু করি। সেদিন রাত দশটার সময় আমরা বাজারে চলে যাই বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য খাবার কিনতে। রাত বারোটায় বাড়ি এসে আমরা Youth Alliance পরিবারের বেশ কিছু উদ্যমী সদস্য মিলে প্যাকেজিং করার শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ পাঁচটার সময় আমাদের প্যাকেজিং করা শেষ হয়। ২ ঘণ্টা রেস্ট নিয়ে সকাল ৭ টায় আমরা বন্যা দুর্গত এলাকা পাইকগাছার উদ্দেশ্যে বের হই। সাথে ছিল আমাদের Youth Alliance এর উদ্যমী সদস্য ও Asia technical and training centre এর সদস্যবৃন্দ। পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়ন এ পৌঁছানোর পর ট্রলারযোগে চলে যাই প্রত্যন্ত গ্রামে। বাড়ি বাড়ি আমরা তাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করি। তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে আমরাও ব্যথিত হয়েছি। আমাদের সামান্য সাহায্যের হাত তাদের একটু হলেও উপকারে এসেছে বলে আমি মনে করি। তাদের পাশে থাকতে পেরে তাদের এই অবস্থায় আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে আমরা সকলেই গর্বিত।

 

দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করব আমরা ইনশাআল্লাহ।