ছাত্র আন্দোলনে হামলা ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে রাজনৈতিক নেতা ও দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা
- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 11
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, মারধর ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দুই সাংবাদিকে আসামী করে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বাদি মো: মামুন ইসলাম (১৯) সদর উপজেলার দৌলতপুর সিঙ্গিয়া গ্রামের মো: তাজেল এর ছেলে। মামলার এজাহারে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো- সদরের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো, যমুনা টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস ও দেশ টেলিভিশন এবং আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি শাকিল আহমেদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা রয়েল বড়ুয়া, জেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজীব পোদ্দার শশী, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, আতাউর রহমান, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সিদ্দিক, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রুবেল, আট-গ্যালারি এলাকার জাকারিয়া প্রমানিক, আশ্রম পাড়ার খোকন চৌধুরী, টেংগাঁ বাবু, পশ্চিম মুন্সিপাড়ার এলাকার বাবুর্চি রানা, শিল্পকলার এলাকার তনু, আশ্রম পাড়ার মিরাজ ইসলাম, মুন্সিপাড়ার রায়হান ইসলাম, মামুস রানা, ডিসিবস্তি এলাকার সোহাগ ইসলাম, ভুল্লী কুমার এলাকার সরকার আসাদুজ্জামান, শাসলাপিয়ালা এলাকার তাজউদ্দীন, আশ্রমপাড়ার উৎপল গুহ ঠাকুরতা, মুন্সিপাড়ার মিন্টু, রানা ইসলাম, জমি দাস, সুয়েল, বাপ্পি, কলেজপাড়ার ইকবাল, বাপ্পী, দুওসুও ইউনিয়নের নোমান (অভি) শ্রী শচীন বর্মণ ও ভুল্লীর শাসলাপিয়ালা এলাকার রফিক মিয়া।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য অস্ত্র-সস্ত্র হয়ে মামলার বাদীসহ ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে একাধিক ছাত্র-জনতাকে গুরুতর আহত করেন।
গত রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সড়ে ১১টায় আসামিগন ছাত্র-জনতাঁর বিক্ষোভ মিছিলে লাঠি-সোটা লোহার, রড, ককটেল ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে ছাত্র মিছিলটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে মামলার বাদী মামুন ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মামুন ইসলাম নামে একজন আদালতে একটি মামলা করেছে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মামলার কাগজপত্র হাতে পায়নি। পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।