ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য জব্দ, ১২ জনকে অর্থদন্ড
- আপডেট সময় : ১১:৪৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
- / 61
বর্ডারহাটে সীমান্তবর্তী মানুষের রুজি রোজগারের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে কার্ডধারী ছারা বর্ডারহাটে আসা আগন্তক’রা । সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার দিনব্যাপী বর্ডারহাটের সীমান্তবর্তী কার্ডধারী সদস্যদের ছারা বর্ডারহাটে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসা ১২ জন কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৭০০ (চার হাজার সাতশত টাকা) অর্থদন্ড সহ কার্ডধারী সদস্য ছারা ভারতীয় পণ্য কেনা মালামাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রৌশন আহমেদ মালামাল জব্দ সহ এই অর্থদন্ড প্রদান করেন। বাংলাদেশের ২য় বর্ডারহাট সদর উপজেলার জাহাঙ্গিরনগর ইউনিয়নের ডলুরা বর্ডার হাট ২০১২ সালের ১লা মে ডলুরা ও ভারতের মেঘালয়ের রাজ্যের শিলং সাব ডিভিশনের বালাটের লালপানি এলাকার জিরো পয়েন্টে উদ্বোধন হয়। এ হাটে ভারত এবং বাংলাদেশের ২৫টি করে মোট ৫০টি দোকান রয়েছে। দু’দেশের সীমান্তবর্তী ৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এখানে কেনাকাটা করেন। একজন ক্রেতা সর্বমোট ৫০ ডলারের সমপরিমাণ টাকার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এই হাটে দুই দেশের সীমান্ত এলাকার লোকজন কৃষি, খাদ্য, হস্তশিল্প পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচা করছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীদের কারনে বর্ডারহাটের কার্ডধারী সাধারণ মানুষ কেনাবেচা করতে নানা জটিলতায় ভুগছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন নজরদারির মাধ্যমে বর্ডারহাটে প্রকৃত সীমান্তের ৫ কিলোমিটার সংলগ্ন কার্ডধারীদের বর্ডারহাটে কেনাবেচা করতে কোন প্রতিবন্ধকতা না পেতে হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেক পণ্য এই হাটে কেনা বেচা হয়। জমজমাট এ বর্ডার হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই উপকৃত হচ্ছেন। এ বর্ডার হাটের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান অনেকটা কমে গেছে। টাকা থেকে রুপি করার জন্য জনতা ব্যাংকের একটি বুথও রয়েছে বর্ডার হাটে। নিরাপত্তার স্বার্থে ক্রেতার জন্য লাল কার্ড, বিক্রেতার জন্য আকাশী কার্ড, বিক্রেতার সহকারীর জন্য বাদামি কার্ড রয়েছে। প্রতি হাটেই একজন সহকারী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম বর্ডার হাট মনিটরিং করে।প্রতি সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার (সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩ টা ৩০ পর্যন্ত) বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকার লোকজন বর্ডার হাটে পণ্য বেচাকেনা করে।