ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের গায়েবী জানাজা Logo স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-পলিটেকনিকে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা Logo বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত Logo ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ, পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ Logo রাণীশংকৈল ভাংবাড়িতে নিম্নমানের ইটে চলছে সড়ক নির্মাণ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জন Logo বালিয়াডাঙ্গীতে প্রকল্পে সঞ্চয়ের টাকা পেলেন ৮০ জন নারী শ্রমিক Logo দখল আর দুষণে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের খালগুলো বিলীন, সচেতন নাগরিক সংগঠন এর মানববন্ধন Logo রাণীশংকৈলে মাদরাসা সভাপতির বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ Logo নদীতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থী নিখোঁজ, দুইদিন পর মরদেহ উদ্ধার
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
জনপ্রিয় দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম... উত্তরবঙ্গের গণমানুষের ঠিকান এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও এর জন্য, দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজে একযোগে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আপনি যদি সৎ ও কর্মঠ হোন আর অনলাইন গনমাধ্যমে কাজ করতে ইচ্ছুক তবে আবেদন করতে পারেন। আবেদন পাঠাবেন নিচের এই ঠিকানায় ajkerthakurgaon@gmail.com আমাদের ফেসবুল পেইজঃ https://www.facebook.com/ajkerthakurgaoncom প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন মোবাইল : ০১৮৬০০০৩৬৬৬

ইসলামের দৃষ্টিতে নববর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 74

ছবি: প্রতীকী

আজকের ঠাকুরগাঁও অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আর এরই ধারাবাহিকতায় বছর আসে এবং ১২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তা শেষ হয়ে আবার নতুন বছর শুরু হয়।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমের সূরা আত তাওবার ৩৬ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস ১২টি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে’।

ইসলামের দৃষ্টিতে নববর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ

নববর্ষ বা নতুন বছর মানে গত এক বছরের হিসাব কষে নতুন বছরে নতুন নতুন ভালো কাজ ও সুন্দর পরিকল্পনা নেওয়া। সুন্দর কাজ দিয়ে জীবনকে সাজাতে হবে। একজন প্রকৃত মুমিন এটাই দেখবে যে, দুনিয়াবি দৃষ্টিকোণ থেকে এ বছর সে কী হারিয়েছে আর কি পেয়েছে? তার ইহলৌকিক অবস্থা বা বৈষয়িক অবস্থায় কি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আর কী কী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বিগত বছরে কী কী ভালোকাজ করেছে আর এবছর যেন আরো বেশি ভালোকাজ করতে পারে সেই চেষ্টায় সে নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তাহাজ্জুদ নামাজ এবং বিশেষ ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে।

সে বিগত বছরে কী কী ভালোকাজ করেছে আর এবছর যেন আরো বেশি ভালোকাজ করতে পারে সেই চেষ্টায় সে নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তাহাজ্জুদ নামাজ এবং বিশেষ ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে। নিজেদের দুর্বলতার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে এই দোয়া করতে হবে, হে আল্লাহ! আমাদের আগত বছর যেন বিগত বছরের ন্যায় আমলের ক্ষেত্রে দুর্বল না হয় বরং আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সময়, প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ ও পদচারণা যেন হয় একমাত্র তোমার সন্তুষ্টির জন্য।

ইমাম আযম আবু হানিফার (রহ.) দাদা তার পিতাকে পারস্যের নববর্ষের দিন আলী (রা.) এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং কিছু হাদিয়া পেশ করেছিলেন। তখন আলী (রা.) বললেন, ‘নওরোজুনা কুল্লা ইয়াওম’ মুমিনের প্রতিটি দিনই তো নববর্ষ। অর্থাৎ মুমিন প্রতিদিনই তার আমলের হিসাব নিকাশ করবে এবং নব উদ্যোমে নতুন করে আখেরাতের পাথেয় সংগ্রহ করবে। আমাদের বছর যদি শুরু হয় ভালো কাজ আর তাহাজ্জুদের মধ্য দিয়ে তবেই নতুন বছর আমাদের জন্য তথা সারা বিশ্বের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

কল্যাণ-অকল্যাণ ও মঙ্গল-অমঙ্গল মানুষের কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা (কাল) সময়কে দোষারোপ কোরো না, কালকে গালমন্দ কোরো না; কারণ, আমিই মহাকাল, আমিই সময়ের পরিবর্তনকারী’।

নতুন বছর আসা মানে জীবনের নির্ধারিত সময় থেকে একটি বছর যাওয়া। আর জীবন থেকে এক বছর চলে যাওয়া মানে মৃত্যুর কাছাকাছি আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। তাই নতুন বছরে মৃত্যুর স্মরণ ও পরকালের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া কারণ আমরা দিনদিন মৃত্যুর কাছাকাছি আগাচ্ছি। নতুন বছরের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো জীবনের হিসাব গোছানো। আল্লাহ হিসাব নেওয়ার আগে নিজের জীবনের হিসাব গুছিয়ে নিতে পারলেই জীবনের পরবর্তী ধাপে ভালো কিছু করা সম্ভব।

মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.) একবার মিম্বরে দাঁড়িয়ে তার খুতবায় এক ঐতিহাসিক উক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘হিসাব চাওয়ার আগে নিজের হিসাব করে নাও, তোমার কাজ পরিমাপ করার আগে নিজেই নিজের কাজের পরিমাপ করে নাও।

অশ্লীলতা, অনর্থক কাজকর্ম পরিহার করাও নববর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিগত বছরে যে যে বেহুদা কাজ হয়েছে সবগুলোকে হিসাবের আওতায় এনে আগামী বছরের নতুব পরিকল্পনা হাতে নেওয়াই প্রকৃত বুদ্ধিমান মুমিনের কাজ।

নববর্ষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করা। পশ্চিমা সংস্কৃতিকে লালন করে নতুন বছরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো বা বিগত বছরকে বিদায় জানানোর সঙ্গে ইসলামের ইবাদত-বন্দেগি, রীতি-নীতি বা সভ্যতা-সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই।

‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ পালন বা এজাতীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ, যা মুসলমানদের জন্য অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আবু দাউদের হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত বিবেচিত হবে’। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩৩)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইসলামের দৃষ্টিতে নববর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ

আপডেট সময় : ০৭:০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আর এরই ধারাবাহিকতায় বছর আসে এবং ১২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তা শেষ হয়ে আবার নতুন বছর শুরু হয়।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমের সূরা আত তাওবার ৩৬ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস ১২টি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে’।

ইসলামের দৃষ্টিতে নববর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ

নববর্ষ বা নতুন বছর মানে গত এক বছরের হিসাব কষে নতুন বছরে নতুন নতুন ভালো কাজ ও সুন্দর পরিকল্পনা নেওয়া। সুন্দর কাজ দিয়ে জীবনকে সাজাতে হবে। একজন প্রকৃত মুমিন এটাই দেখবে যে, দুনিয়াবি দৃষ্টিকোণ থেকে এ বছর সে কী হারিয়েছে আর কি পেয়েছে? তার ইহলৌকিক অবস্থা বা বৈষয়িক অবস্থায় কি ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আর কী কী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বিগত বছরে কী কী ভালোকাজ করেছে আর এবছর যেন আরো বেশি ভালোকাজ করতে পারে সেই চেষ্টায় সে নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তাহাজ্জুদ নামাজ এবং বিশেষ ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে।

সে বিগত বছরে কী কী ভালোকাজ করেছে আর এবছর যেন আরো বেশি ভালোকাজ করতে পারে সেই চেষ্টায় সে নতুন বছরকে বরণ করে নেবে তাহাজ্জুদ নামাজ এবং বিশেষ ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে। নিজেদের দুর্বলতার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে এই দোয়া করতে হবে, হে আল্লাহ! আমাদের আগত বছর যেন বিগত বছরের ন্যায় আমলের ক্ষেত্রে দুর্বল না হয় বরং আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সময়, প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ ও পদচারণা যেন হয় একমাত্র তোমার সন্তুষ্টির জন্য।

ইমাম আযম আবু হানিফার (রহ.) দাদা তার পিতাকে পারস্যের নববর্ষের দিন আলী (রা.) এর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং কিছু হাদিয়া পেশ করেছিলেন। তখন আলী (রা.) বললেন, ‘নওরোজুনা কুল্লা ইয়াওম’ মুমিনের প্রতিটি দিনই তো নববর্ষ। অর্থাৎ মুমিন প্রতিদিনই তার আমলের হিসাব নিকাশ করবে এবং নব উদ্যোমে নতুন করে আখেরাতের পাথেয় সংগ্রহ করবে। আমাদের বছর যদি শুরু হয় ভালো কাজ আর তাহাজ্জুদের মধ্য দিয়ে তবেই নতুন বছর আমাদের জন্য তথা সারা বিশ্বের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

কল্যাণ-অকল্যাণ ও মঙ্গল-অমঙ্গল মানুষের কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা (কাল) সময়কে দোষারোপ কোরো না, কালকে গালমন্দ কোরো না; কারণ, আমিই মহাকাল, আমিই সময়ের পরিবর্তনকারী’।

নতুন বছর আসা মানে জীবনের নির্ধারিত সময় থেকে একটি বছর যাওয়া। আর জীবন থেকে এক বছর চলে যাওয়া মানে মৃত্যুর কাছাকাছি আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। তাই নতুন বছরে মৃত্যুর স্মরণ ও পরকালের প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া কারণ আমরা দিনদিন মৃত্যুর কাছাকাছি আগাচ্ছি। নতুন বছরের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো জীবনের হিসাব গোছানো। আল্লাহ হিসাব নেওয়ার আগে নিজের জীবনের হিসাব গুছিয়ে নিতে পারলেই জীবনের পরবর্তী ধাপে ভালো কিছু করা সম্ভব।

মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা ওমর (রা.) একবার মিম্বরে দাঁড়িয়ে তার খুতবায় এক ঐতিহাসিক উক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘হিসাব চাওয়ার আগে নিজের হিসাব করে নাও, তোমার কাজ পরিমাপ করার আগে নিজেই নিজের কাজের পরিমাপ করে নাও।

অশ্লীলতা, অনর্থক কাজকর্ম পরিহার করাও নববর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বিগত বছরে যে যে বেহুদা কাজ হয়েছে সবগুলোকে হিসাবের আওতায় এনে আগামী বছরের নতুব পরিকল্পনা হাতে নেওয়াই প্রকৃত বুদ্ধিমান মুমিনের কাজ।

নববর্ষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করা। পশ্চিমা সংস্কৃতিকে লালন করে নতুন বছরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো বা বিগত বছরকে বিদায় জানানোর সঙ্গে ইসলামের ইবাদত-বন্দেগি, রীতি-নীতি বা সভ্যতা-সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই।

‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ পালন বা এজাতীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ বিজাতীয় সংস্কৃতির অংশ, যা মুসলমানদের জন্য অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আবু দাউদের হাদিসে ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত বিবেচিত হবে’। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪০৩৩)