গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত-
![](https://ajkerthakurgaon.pw/wp-content/uploads/2023/12/ajkerthakurgaon-logo-02.jpg)
- আপডেট সময় : ১১:০০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
- / 51
![](https://ajkerthakurgaon.pw/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পলাশবাড়ী অংশের ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহনকৃত জমির অর্থ প্রদানের দাবীতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী অংশে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় গৃরিধারীপুর,জামালপুর,হরিণমাড়ী,বৈরী হরিণমাড়ী মৌজাসহ নুনিয়াগাড়ী মৌজায় সেটেল্টমেন্ট পরিচালিত চুড়ান্ত বিআরএস খতিয়ান প্রকাশ ব্যতিত এবং অধিগ্রহনকৃত জমির অর্থ প্রদান না করেই সড়ক বিভাগের নিকট জমি হস্তান্তর এবং স্ব-স্ব নিজ দখলীয় অবকাঠামো ভেঙ্গে
নেয়ার মাইকিংয়ের প্রতিবাদে বিশাল এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। পাশাপাশি শিল্পী হোটেল থেকে হরিণমাড়ী মৌজার যেসব দোকানের নাম বাদ পড়েছে তাদের তালিকা করারও আহবান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারী)দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরের নুনিয়াগাড়ী, জামালপুর,হরিণমাড়ী,বৈরী হরিণমাড়ী মৌজার ভূক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ স্ব-স্ব জমির মালিক-দোকান মালিক,ব্যবসায়ী ও ভাড়াটিয়ারা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে সমবেত হয়।এসময় ভূমি অধিগ্রহণ স্পর্শকাতর বিষয়টির প্রতিবাদে সমবেতরা এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।এতে বক্তব্য রাখেন আজিজার রহমান মোল্লা,সুরুজ হক লিটন,সুমন মোল্লা,মামুন মিয়া,রেজাউল করিম,খায়রুল ইসলাম,মামুন সরকার ও শাকিল মিয়া ছাড়াও ভুক্তভোগী ভূমি মালিকরা।
আয়োজিত মানববন্ধনে নুনিয়াগাড়ী মৌজার বক্তারা বলেন,ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সড়ক উন্নয়নের নামে সেটেল্টমেন্ট পরিচালিত চুড়ান্ত বিআরএস খতিয়ান প্রকাশ করা হয়নি।উপরন্ত অধিগ্রহনকৃত জমির অর্থ প্রদান না করেই সড়ক বিভাগের নিকট জমি হস্তান্তর এবং স্ব-স্ব দখলীয় অবকাঠামো ভেঙ্গে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন মাইকিং করে।এতে ক্ষুব্ধ ভূক্তভোগী জমির মালিক তথা ব্যবহারকারী দখলীয়দের মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনা ছাড়াও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া
সহ চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে ভূক্তভোগী জমির মালিকরা আরও বলেন, এছাড়াও হরিণমাড়ী মৌজার শিল্পী হোটেল থেকে বগুড়া বাসস্ট্যান্ড যাত্রী ছাউনি পযর্ন্ত প্রায় ৫০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ পড়েছে। তাদের কোন তালিকা না করেই অবকাঠামো ভেঙ্গে ফেলার মাইকিং শুনে বঞ্চিতদের মাঝে হতাশার সঞ্চার হয়েছে। এদিকে অধিগ্রহনের সময় জমির মালিকদের মধ্যে যেসব ব্যক্তি-মালিক মোটাঅংকের উৎকোচ দিয়েছেন কেবলমাত্র তাদের জমির বিপরীতে ক্ষতি-পূরণের টাকা দেয়া হচ্ছে।আর যারা উৎকোচ দেয়নি তাদের জমির প্রদেয় অর্থ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চরম গড়িমসি করছেন।
ফলে বিক্ষুদ্ধ জমির মালিক ও ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীসহ ভূক্তভোগিমহল এদিন মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন।বিরাজমান সমস্যা নিরসনে মানবিক হস্তক্ষেপ কামনা করে জেলা প্রশাসক বরাবর নিকট একটি স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।