ঠাকুরগাঁওয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে নারী অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় আটক ৬ জন
- আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / 54
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের বান্দিগড় বালাপাড়া নামক এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সযোগে মোছা: সুমনা পারভীন (২৮) নামে এক নারীকে অপহরনের চেষ্টার ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধায় উল্লেখিত ৬ জন আসামীকে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে তুলে দেয় । ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভুক্তভোগী নারী ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঐ গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর মেয়ে মোছা: সুমনা পারভীন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ ভাউলাগঞ্জ রোডস্থ পল্লীবিদ্যুৎ শাখায় বিলিং সহকারী পদে কর্মরত। সে খানে ভাড়া বাসায় ৪ মাস ধরে বসবাসকালীন সময়ে অফিস যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী সোনাহার সরকারপাড়া গ্রামের মো: সহিদুল ইসলামের ছেলে সৌমিক আহাম্মেদ (৩০) উত্যক্ত করে আসছিলেন।
এমনকি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে না করলে অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি সুমনা পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবহিত করলে বাড়ির লোকজন তার বিয়ের জন্য পাত্রের সন্ধান শুরু করেন। সুমনা পরভীন শুক্রবার কর্মস্থল থেকে তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার বালাপাড়া বান্দিগড়ে আসেন। সুমানার বিয়ের কথা জানার পর ঐ দিন সন্ধায় সৌমিক রায় ৬ জনকে নিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে সুমনার বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক সুমনাকে অপহরনের চেষ্টা করে। এ সময় তার পরিবার ও আশপাশের লোকজন গিয়ে উল্লেখিত ৬ জনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার মো: রেজাউল করিমের ছেলে মো: রকি ইসলাম (২৫), ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রাম গোপাল (৩০), মৃত বিজয় কুমার রায়ের ছেলে ভরত কুমার রায় (২৯) হিরাম্ব চন্দ্র রায়ের ছেলে দিলীপ রায় (৩০) ও এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার মো: আরমান হোসেন (২০)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এস,আই (নি:) পিযুস চন্দ্র সরকার বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ উল্লেখিত ৬ জনকে আটক করে।