সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানুষের সুখ ও দুঃখের ভাগিদার হতে চান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা Logo লাহিড়ীতে পুলিশ ফাঁড়ি ও ১০ শর্য্যা হাসপাতাল চালুর দাবি করেন বিএনপির নেতা নুরনবী Logo জনগনের হয়ে কাজ করতে চান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা Logo ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির পণ্য নিয়ে তোলপাড় ক্ষুদ্ধ কার্ডধারীরা, দালালের সিনাজুরি Logo ঠাকুরগাঁওয়ে সুগারমিল কর্মকর্তা কর্মচারিদের মানববন্ধন Logo হত্যা, চাঁদাবাজি ও ভুমি দখল মামলায় এমপি কারাগারে । Logo রাণীশংকৈলে ১৭ বছর পর সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতের মতবিনিময়সভা Logo ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত Logo ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৯ জন Logo বুধবার থেকে সব গার্মেন্টস খোলা: শ্রম ‍উপদেষ্টা
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
জনপ্রিয় দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও পত্রিকায় আপনাকে স্বাগতম... উত্তরবঙ্গের গণমানুষের ঠিকান এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও এর জন্য, দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজে একযোগে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আপনি যদি সৎ ও কর্মঠ হোন আর অনলাইন গনমাধ্যমে কাজ করতে ইচ্ছুক তবে আবেদন করতে পারেন। আবেদন পাঠাবেন নিচের এই ঠিকানায় ajkerthakurgaon@gmail.com আমাদের ফেসবুল পেইজঃ https://www.facebook.com/ajkerthakurgaoncom প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন মোবাইল : ০১৮৬০০০৩৬৬৬

ঠাকুরগাঁওয়ে হারিয়ে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য কুপিবাতি

মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 51
আজকের ঠাকুরগাঁও অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রাচীনকালে আলোর একমাত্র অবলম্বন হিসেবে কুপিবাতির বেশ কদর ছিল। সময় এবং কালের বিবর্তনের পাশাপাশি যুগের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপিবাতি। আগামী প্রজন্মের কাছে কুপিবাতি শুধুই স্মৃতি। এর পরিচয় জানতে হলে যাদুঘর যেতে হবে তাদেরকে।
এমন এক সময় ছিল যেখানে রাতের অন্ধকার দুর করার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে কুপিবাতির প্রচলন ও ব্যবহার ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে দোকান পাট সহ সর্বত্রই ব্যবহার ছিল কুপিবাতির।

গ্রামবাংলার অধিকাংশ লোকের কাছে কুপিবাতির কদর হারিয়ে গেলেও এখনো অনেক লোক আছেন যারা আঁকড়ে ধরে আছেন কুপিবাতির ঐতিহ্য।

মাত্র ২ যুগ আগেও গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে অতি প্রয়োজনীয় কুপিবাতি আজ বিলীনের পথে। সন্ধ্যা হলেই কুপিবাতির মিটিমিটি আলোয় চেনা যেত গ্রামের সেই চিরচেনা রুপ, শুধু তাই নয় রাজা বাদশাদের বাড়িতেও ছিল বাহারি ডিজাইনের কুপিবাতি, আধুনিক যুগের ছোয়ায় এখন তা শুধুই স্মৃতি। আজ কালের বিবর্তনে ও প্রযুক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়ায় বহুল জনপ্রিয় ব্যবহৃত কুপিবাতি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামীণ বাংলার প্রতিটি বাড়িতেই কুপিবাতির প্রচলন ছিল বিদ্যেমান, এর মধ্যে কোনটা ছিল মাটির তৈরি, কোনটা কাঁচের আবার কোনটা পিতলের পাশাপাশি সেই সময় টিনের তৈরি কুপিবাতির প্রচলনও ছিল প্রতি ঘরে ঘরে। আকারে এবং গঠন অনুযায়ী বড়, মাঝারি এবং ছোট আকারেও পাওয়া যেত এবং দামে ছিল মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে মাটির তৈরি কুপিবাতি বিক্রি হতো ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা, টিন এবং পিতলের গুলো বিক্রি হতো ৫০ টাকা ৮০ টাকা।

এছাড়াও বড় কুপিবাতি গুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এবং বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত হতো প্রতিনিয়ত। এই কুপিবাতি জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত হতো কেরোসিন তেল। আর আলোর তারতম্য ঘটানোর জন্য লাগত কাপরের ছোট- বড় টুকরা বা পাটের আঁশ, যাকে গ্রাম্য ভাষায় শৈল্তা বলা হতো। এক সময় দেখা যেত গ্রামীন বধুরা প্রতি সন্ধ্যায় এই বাতি জ্বালানোর জন্য এটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঠিকঠাক করে রাখত। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানিরা কুপিবাতিকে একটি খুটির সাথে বেঁধে দোকান করত। গ্রামীন জনপদের মানুষের অন্ধকার দুর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিদ্যুতের আবিস্কার ও ইলেকট্রিক নানা রকম উপকরণ যেমন টর্চলাইট, এলইডি বাল্ব, সোলার প্যানেল এর ফলে হারিয়ে গেছে বহুল ব্যবহৃত কুপিবাতি। যা বর্তমান সমাজের মানুষের কাছে শুধুই স্মৃতি। এ বিষয়ে কথা হয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী এবং লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক সুকুমার রায়ের সাথে, তারা বলেন, ছোটবেলায় আমরা নিজেরাই কুপিবাতি দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আর আজ এই কুপিবাতি শুধুই স্মৃতি।

তারা আরও বলেন, তোমাদের কাছে কুপিবাতির কথা শুনে আমাদের আগেরকার দিনের কথা মনে পড়ে গেল,সে সময় প্রচুর অভাব ছিল মানুষের।এটির সাথে আমাদের জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িত। তবে অদুর ভবিষ্যতে এই কুপিবাতি দেখতে তরুণ প্রজন্মকে যাদুঘরে গিয়ে দেখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা সম্পাদক

দৈনিক আজকের ঠাকুরগাঁও এর বার্তা সম্পাদক
ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁওয়ে হারিয়ে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য কুপিবাতি

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রাচীনকালে আলোর একমাত্র অবলম্বন হিসেবে কুপিবাতির বেশ কদর ছিল। সময় এবং কালের বিবর্তনের পাশাপাশি যুগের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপিবাতি। আগামী প্রজন্মের কাছে কুপিবাতি শুধুই স্মৃতি। এর পরিচয় জানতে হলে যাদুঘর যেতে হবে তাদেরকে।
এমন এক সময় ছিল যেখানে রাতের অন্ধকার দুর করার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে কুপিবাতির প্রচলন ও ব্যবহার ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে দোকান পাট সহ সর্বত্রই ব্যবহার ছিল কুপিবাতির।

গ্রামবাংলার অধিকাংশ লোকের কাছে কুপিবাতির কদর হারিয়ে গেলেও এখনো অনেক লোক আছেন যারা আঁকড়ে ধরে আছেন কুপিবাতির ঐতিহ্য।

মাত্র ২ যুগ আগেও গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে অতি প্রয়োজনীয় কুপিবাতি আজ বিলীনের পথে। সন্ধ্যা হলেই কুপিবাতির মিটিমিটি আলোয় চেনা যেত গ্রামের সেই চিরচেনা রুপ, শুধু তাই নয় রাজা বাদশাদের বাড়িতেও ছিল বাহারি ডিজাইনের কুপিবাতি, আধুনিক যুগের ছোয়ায় এখন তা শুধুই স্মৃতি। আজ কালের বিবর্তনে ও প্রযুক্তিগত ব্যবহারের পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়ায় বহুল জনপ্রিয় ব্যবহৃত কুপিবাতি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামীণ বাংলার প্রতিটি বাড়িতেই কুপিবাতির প্রচলন ছিল বিদ্যেমান, এর মধ্যে কোনটা ছিল মাটির তৈরি, কোনটা কাঁচের আবার কোনটা পিতলের পাশাপাশি সেই সময় টিনের তৈরি কুপিবাতির প্রচলনও ছিল প্রতি ঘরে ঘরে। আকারে এবং গঠন অনুযায়ী বড়, মাঝারি এবং ছোট আকারেও পাওয়া যেত এবং দামে ছিল মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে মাটির তৈরি কুপিবাতি বিক্রি হতো ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা, টিন এবং পিতলের গুলো বিক্রি হতো ৫০ টাকা ৮০ টাকা।

এছাড়াও বড় কুপিবাতি গুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এবং বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত হতো প্রতিনিয়ত। এই কুপিবাতি জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত হতো কেরোসিন তেল। আর আলোর তারতম্য ঘটানোর জন্য লাগত কাপরের ছোট- বড় টুকরা বা পাটের আঁশ, যাকে গ্রাম্য ভাষায় শৈল্তা বলা হতো। এক সময় দেখা যেত গ্রামীন বধুরা প্রতি সন্ধ্যায় এই বাতি জ্বালানোর জন্য এটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঠিকঠাক করে রাখত। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানিরা কুপিবাতিকে একটি খুটির সাথে বেঁধে দোকান করত। গ্রামীন জনপদের মানুষের অন্ধকার দুর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল এটি। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিদ্যুতের আবিস্কার ও ইলেকট্রিক নানা রকম উপকরণ যেমন টর্চলাইট, এলইডি বাল্ব, সোলার প্যানেল এর ফলে হারিয়ে গেছে বহুল ব্যবহৃত কুপিবাতি। যা বর্তমান সমাজের মানুষের কাছে শুধুই স্মৃতি। এ বিষয়ে কথা হয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী এবং লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক সুকুমার রায়ের সাথে, তারা বলেন, ছোটবেলায় আমরা নিজেরাই কুপিবাতি দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আর আজ এই কুপিবাতি শুধুই স্মৃতি।

তারা আরও বলেন, তোমাদের কাছে কুপিবাতির কথা শুনে আমাদের আগেরকার দিনের কথা মনে পড়ে গেল,সে সময় প্রচুর অভাব ছিল মানুষের।এটির সাথে আমাদের জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িত। তবে অদুর ভবিষ্যতে এই কুপিবাতি দেখতে তরুণ প্রজন্মকে যাদুঘরে গিয়ে দেখতে হবে।